বাউফলে সংক্রামক রোগ আইনে ১৬ প্রতিষ্ঠানে ৭১ হাজার টাকা জরিমান

বাউফলে সংক্রামক রোগ আইনে ১৬ প্রতিষ্ঠানে  ৭১ হাজার টাকা জরিমান

সাইফুল ইসলাম, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর বাউফলে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা না করায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রন ও নিমূল) আইন, ২০১৮ এর আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন না করায় ১৬ প্রতিষ্ঠানকে ৭১ হাজার টাকা জরিমানা দন্ড আরোপ করা হয়। সোমবার থেকে উপজেলার ঔষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ব্যবতীত সকল দোকান/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিং সেন্টার বন্ধ রাখার নিদেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। এর আগে গতকাল রোববার সন্ধায় এক গনবিজ্ঞপ্তি জারি করেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী। করোনা ভাইরাস সংক্রামনের ঝুকি বেড়ে যাওয়া শঙ্কায় পটুয়াখালীর বাউফলে ফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। ওই নির্দেশনা অমান্য করায় মঙ্গল ও সোমবার দুইদিনে কালাইয়া, কালিশুরী, নগরহাট পৌর সদরে অভিযান চালিয়ে ১৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে সর্বমোট ৭১ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্বাহী কার্যালয়ে সূত্রে জানাগেছে, আজ (১৯ মে) উপজেলার নগরের হাট ও মিলঘর এলাকায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রন ও নিমূল) আইন, ২০১৮ এর আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত কালাইয়া বাউফল পৌর সদরে অভিযান চালিয়ে নয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে মোট ৩৯ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে কালাইয়া বন্দরে ছয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অর্থদন্ড করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি আনিচুর রহমান বালি। বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন,জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক করোনা ভাইরাসের সংক্রামন রোধে পটুয়াখালী জেলার অন্যান্য উপজেলারমত বাউফল ঔষুধ ও নিত্য্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ব্যতীত সকল দোকান /ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিং সেন্টার বন্ধ রাখার নিদেশ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পবিত্র রমজান ও উদুল ফিতরকে সামনে রেখে ১০ মে রোজ রোববার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার শর্তে দোকানপাট খোলা অনুমতি দেন সরকার। সেদিন থেকেই সব ধরনের দোকানপাট খোলেন ব্যবসায়ীরা কিন্তু বিগত পাচ দিন মাকের্ট এবং শপিং মলগুলোতে সরকারেরর সেই নিদের্শনা মানা হচ্ছে না আর করোনা ভাইরাস সংক্রামনের ঝুকি আরো বেড়ে যাওয়া আশংকায় ফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন প্রশাসন। পরবর্তীতে নিদের্শনা না দেয়া পর্যন্ত আদেশ বলবৎ থাকবে।